সংশ্লিষ্টরা জানান, যশোর থেকে ঢাকাসহ ৩২ রুটে প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৭০০ গাড়ি চলাচল করে। এর সাথে জড়িয়ে আছে আড়াই হাজার শ্রমিক ও তাদের পরিবার। তাদের একমাত্র অবলম্বন রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে বেঁচে থাকা। এখন গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় এদের মধ্যে অনেকে আটকে আছেন যশোরের বাস টার্মিনালগুলোতে।
শ্রমিকরা বলছেন, করোনাভাইরাস রোধে লোকজনকে ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে, যাতে করে এ মহামারি মানুষের মাঝে না ছড়ায়। কিন্তু তারা তো দিন এনে দিন খান। তাদের পরিবারে একজনের আয়েই চলে সংসার।
রবিউল ইসলাম নামে এক শ্রমিক বলেন, ‘যাত্রীদের পৌঁছে দিতে আমরা দায়িত্ব পালন করি। অথচ দেশের এ পরিস্থিতিতে আমাদেরই আটকে থাকতে হচ্ছে পরিবার ছেড়ে। এদিকে কারও নজর নেই। আমাদের পরিবারের সদস্যরা না খেয়ে দিন পার করছে।’
সুমন নামে অপর শ্রমিক বলেন, ‘গাড়ির চাকা ঘুরলে আমাদের পেট চলে। এবার গাড়ি বন্ধ থাকায় পেট তো চলছেই না, এ আটক দশা থেকে মুক্তিরও কোনো উপায় দেখছি না।’
যশোর জেলা পরিবহন সংস্থা শ্রমিক সমিতির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা মিঠু বলেন, বিভিন্ন জায়গায় সরকারি সাহায্য দেয়া হলেও তা মিলছে না পরিবহন শ্রমিকদের। এখানে অনেক শ্রমিক আছে যারা বাড়ি ফিরে যেতে পারেননি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ জানান, আটকে থাকা পরিবহন শ্রমিকদের গন্তব্যে পৌঁছে দেয়াসহ এখানে অবস্থানকালীন সময়ে খাবার নিশ্চিতের জন্য পরিবহন মালিকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিষয়টি অবগত হওয়ার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।